AlMunadiyaPostAd

আরিফ আজাদ কে? Who is Arif Azad? আরিফ আজাদের বই প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ


আরিফ আজাদ কে?

Who is Arif Azad?


"আরিফ আজাদ" এক রহস্যময় চরিত্রের নাম, শুধুই কি তাই ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তা সত্ত্বেও "আরিফ আজাদ" নাম শোনেননি বা নামের সাথে অবগত নন এরূপ লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তা সত্ত্বেও তার চেহারা "Face" এর সাথে পরিচিত মানুষের সংখ্যাও খুঁজে পাওয়া তেমনই। সাম্প্রতিক মিডিয়ার যুগে যেখানে ব্যক্তি শুধু নিজেকে কিভাবে মার্কেটিং প্রসার করা যায় সেই চিন্তায় ব্যস্ত, প্রতিযোগিতা চলছে বিশ্বজুড়ে। আর এই বর্তমান মিডিয়ার যুগে ব্যতিক্রম এক মানুষ যার নাম "আরিফ আজাদ"। ভাবতেই বিস্মিত লাগে, তা-ও আবার যেন তেন ব্যাক্তি নয়। জনপ্রিয় একজন লোক যার অগণিত ভক্ত তাকে এক পলক দেখার জন্য আকুল আগ্রহে উপায় চেয়ে রয়েছে কমপক্ষে পক্ষে একটা পিকচার হলেও অপেক্ষার প্রহর ঘুচবে।


আরিফ আজাদ একজন বাংলাদেশী লেখক। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে ইসলাম রীতি বিষয়ক লেখালেখি করেন। নাস্তিক বনাম মুসলিম ডিবেট উনি ইসলামের পক্ষে প্রচুর যুক্তি উপস্থাপন করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তার লিখনি অন্যতম একটি বই প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ নেটিজেনদের ভিতরে তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়। ফেইসবুকে তার পাঁচ লাখ একত্রিশ হাজার ফলোয়ার আছে। নিচের ইউআএল-এ ক্লিক করে তার ফেইসবুক পেজ থেকে ঘুরে আসতে পারেন।

https://www.facebook.com/arifazad.bd




আরিফ আজাদ 


জন্ম: ৭ জানুয়ারি,১৯৯০

অমর একুশে বইমেলা-২০১৯ এ অনলাইন বেস্ট সেলার হিসেবে সিলেক্টেড হন আরিফ আজাদ।


ব্যক্তিগত ও শিক্ষাজীবনঃ

লেখক আরিফ আজাদ ১৯৯০ বছরের ৭ জানুয়ারি,চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহন করেন। তিনি সেকেন্ডারি পাশ করেন চট্টগ্রাম জেলা স্কুল থেকে। একটি সরকারী কলেজ থেকে তিনি শ্রেষ্ঠ মাধ্যমিক শেষ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান সেক্টরে অ্যাডমিট হন এবং এখান হতে উচ্চশিক্ষা শেষ করেন।


সাহিত্যিক জীবনঃ

তরুণ এ লেখক একাদশ শ্রেনীতে থাকাকালীন লেখালেখি আরম্ভ করেন।তবে তার লিখনি ১ম বই প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২০১৭ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হলে তা ব্যপক আলোড়নের সৃষ্টি করে। তারপর থেকে প্রত্যহ পাবলিশ করা থেকে থাকে আরিফ আজাদের আদার্স বইগুলো। লেখালেখির ক্যারিয়ারের আরম্ভ থেকেই আরিফ আজাদ এর বই সমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক জবাব ফেলে।


তার ব্যক্তিগত ফটো ও জীবনঃ

তার পার্সোনাল পিকচার উনি ইন্টারনেটে শেয়ার করেন না, কিন্তু বই মেলাতে তিনি মাঝে মধ্যে এসেছেন, সেই সময় কিছু মানুষের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়েছে, উনি তাদের সাথেও ফটো তুলেননি। তার এফবি গ্রুপে উনি তার ব্যক্তিগত অনুমান শেয়ার করে থাকেন। তিনি দেশের নানারকম জাতীয় উলামা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে থাকেন।

তিনি "আস সাদিক ফাউন্ডেশন" নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।


উল্লেখযোগ্য বইসমূহঃ

১) প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-১

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২০১৭ বর্ষের একুশে বইমেলায় পাবলিশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের ভিতরে তার নাস্তিক ফ্রেন্ডের অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের দ্বারা খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশ করার পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এটি ইংরেজি ভাষা এবং অসমীয়া ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। ২০১৭- এর একুশে বইমেলায় এটা ছিল ম্যাক্সিমাম বিক্রিত বই।


২) প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২

সাজিদ-১ এর ধারাবাহিকতায় ২০১৯ বছরের একুশে বইমেলায় পাবলিশ করা হয় প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২। প্রকাশ করার প্রথমদিনেই বইটির সকল প্রিন্ট বিক্রি হয়ে যায়। মাত্র ৩ দিনে ৮ হাজার কপি বিক্রি হয় বইটির। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের কারনে ৩য় দিনেই বাংলা একাডেমি দিয়ে বইটির বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়।


৩) বেলা ফুরাবার আগে

২০২০ সালে প্রকাশিত 'বেলা ফুরাবার আগে' আরিফ আজাদের ৪র্থ মৌলিক বই। বইটিতে লেখক আরিফ আজাদ তরুন মনের আকুপাকু করা এবং কমিউনিটিতে চলমান প্রশ্ন গুলোর সহজ, সরল,যৌক্তিক, বিশ্লেষণী সমাধান এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছেন। এবারের বইমেলাতেও অবাক হিসেবে ছিল বেলা ফুরাবার আগে বইটি।


৪) আরজ আলীর সমীপে

গ্রাম্য একজন স্বশিক্ষিত নাস্তিক ব্যক্তির ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্তি আন্দাজ ভেঙ্গে দেন, ও ইসলামের সমালোচনাকারীদের জবাব দেন।


আলোচনা এবং সমালোচনাঃ

লেখক আরিফ আজাদ কে নিয়ে যেমন আলোচনাও হয়েছে তেমনি বেশ সমালোচনাও হয়েছে। লেখক ডাঃ শামসুল আরেফিন বলেন “আরিফ আজাদ একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা”। গার্ডিয়ান প্রকাশনী আরিফ আজাদের পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছে, “তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচুর্ণ করেন।” প্রতিপক্ষে কয়েকটি মুক্তমনা এবং বিজ্ঞানবিষয়ক ব্লগে আরিফ আজাদকে নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে। ব্লগিং ওয়েবসাইট বিজ্ঞানযাত্রা হতে দাবি করা হয় আরিফ আজাদ তার সাজিদ সিরিজের বইয়ে বিবর্তন নিয়ে ভুল বর্ণনা দিয়েছেন। তবুও তিনি আসলে সঠিকটিই তুলে ধরেছেন।


মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, উপদেষ্টা, আল মুনাদিয়া

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন