AlMunadiyaPostAd

মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম কী?

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম এটি নিয়ে সন্দেহের মধ্যে আছেন? প্রবলেম নাই আমি আপনার সকল সমস্যা দূর দিব এই পোস্ট মধ্যে। আপনার যদি একটা মোবাইল থাকে তার মধ্যে যদি আপনার ইউটিউব অ্যাপ্লিকেশন থাকে তাহলে জিমেইল দিয়েই তৈরি করে নিতে পারেন একটা নিজের পছন্দ মত ইউটিউব চ্যানেল৷ 


বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন এর মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল খোলা অনেক সহজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক সকল নিয়মাবলি। মোবাইল দিয়ে কেমন করে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো।

ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য কিছু মৌলিক নিয়ম রয়েছে:


১. ইউটিউব একাউন্ট তৈরি:

  • ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হলে, ইউটিউব হোমপেজে গিয়ে "একাউন্ট তৈরি করুন" বাটনে ক্লিক করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন।

২. চ্যানেল তৈরি:

  • প্রথমে আপনার মোবাইলে ইউটিউব এপটি ডাউনলোড করে নিন। তার পর অ্যাপ্লিকেশন এর ভিতরে প্রবেশ করুন। তার পর আপনার প্রোফাইল পিকচারে ক্লিক করুন উপরে টপ কর্নার আপার ডান দিকে। এর পরে create channel উপরে ক্লিক করুন। আপনার চ্যানেল এর নাম, বর্ণনা, ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে।
আর যদি আপনার মোবাইলে আগে থেকে যদি ইউটিউব চ্যানেল খোলা থাকে তাহলে আপনি মোবাইল ফোন এর মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল খোলতে পারবেন। শুরুতে আপনার ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করুন।

  • Chrome browser ওপেন করার পর সার্চ অপশনে লিখুন Youtube / account এবং এর পরে আপনার ফোনটি Desktop mode করুন। যদি আপার জিমেইল দিয়ে লগিং করা না থাকে তাহলে আপনার জিমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিং করে নিন।
  • সিলেক্ট করুন Add or manage your channel
  • আপনি যে নামে আপনার চ্যানেল খোলতে চান Create a channel লিংক গিয়ে সেই নাম দিয়ে create অপশন ক্লিক করুন।

উপরে উল্লেখ সকল কিছু নির্ভুল ভাবে আপনি অনুসরণ করলে নিশ্চয়ই আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে।

৩. চ্যানেল নাম এবং বর্ণনা:

  • একটি ভিডিওয়ের সুরক্ষা জন্য আপনি একটি আকর্ষণীয় এবং স্মরণীয় চ্যানেল নাম চয়ন করতে পারেন, এবং একটি সংক্ষেপমূলক বর্ণনা যোগ করতে ভুলবেন না।

৪. প্রোফাইল চয়ন করুন:

একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল ফটো আপলোড করুন এবং এটি চ্যানেলের জন্য প্রোফাইল ফটো হিসেবে ব্যবহার করুন।

৫. ভিডিও তৈরি এবং আপলোড:

ভিডিও তৈরি করতে এবং ইউটিউবে আপলোড করতে আপনি একটি ক্যামেরা বা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারেন।

৬. ইউটিউব নীতি মেনে চলুন:

আপনার ভিডিও এবং চ্যানেল ইউটিউবের নীতি মেনে চলতে হবে, যেগুলি সকল বক্তব্য, চোরাচালনা, এবং অপরাধমুক্ত রয়েছে।

৭. মোনেটাইজেশন প্রোসেস:

আপনি চাইলে ইউটিউব পার্টনারশীপে যোগদান করতে পারেন। এটির জন্য আপনার চ্যানেলটি সম্মানিত এবং নীতিমুক্ত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয় করার জন্য অনেক বিষয় অনুসরণ করতে হয়। ইউটিউব চ্যানেলের শর্তগুলো পূরণ করতে পারেন তবে এরপর হতে আপনি ইউটিউব চ্যানেল হতে আয় করতে পারবেন।

আমরা আপনার সঙ্গে শেয়ার করব যারা ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করেন কিন্তু এক বছরের ভিতরে 1000 সাবস্ক্রাইব করতে পারেন না তাদের জন্য এই পোস্ট পর্যাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা জানি একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার জন্য শুরুতে ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব প্রয়োজন হয় এছাড়া এক বছরে চার হাজার ওয়াচ টাইম থাকতে হয়। এসকল শর্তগুলো পূরণ করার পরে আপনি গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্লাই করে ইউটিউব হতে আয় করতে পারবেন।


আপনি এই সমস্ত ধাপের সাথে আরও সাহায্য পেতে ইউটিউবের গাইডলাইন এবং হেল্প সেন্টার দেখতে পারেন।


৮. ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়মাবলি ও বিস্তারিত


ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম হলো একদম সহজ৷ আপনার চ্যানেল ভেরিফাই করার জন্য আপনাকে শুরুতে নাম্বার টা যুক্ত করে নিতে হবে এর পরে নাম্বার একটা কোভ যাবে যেটা সাহায্য আপনি সহজেই আপনার একাউন্ট ভেরিফাই করে নিতে পারবেন।

তবে আপনার চ্যানেল যখন নতুন ভাবে তৈরি করবেন সেই সময় অনেক ফিউচার অফ থাকবে যে গুলা আপনাকে পরে আনলক করে দিতে হবে। উদাহরণসরূপ মনে করেন কনটেন্ট আইডি ক্লেইম আপিল, লাইভস্ট্রিমিং,কাস্টম থাম্বনেইল,১৫মিনিটের চেয়ে বড় ভিডিও আপলোড ইত্যাদি।

এখন ভেরিফাই নিয়ম জানতে Youtube প্রবেশ করতে হবে যে কোন ব্রাউজার থেকে। প্রবেশ করতে আপনার জিমেইল লগিং করে নিন৷ profile ক্লিক করে চ্যানেল প্রবেশ করুন এর পরে setting হতে channel ডুকে Varify number ক্লিক করুন। তার পরে আপনার দেশ মোবাইল ফোন নাম্বার দিয়ে কোড এর জন্য পাঠিয়ে দিন। নাম্বার কোড আসলে আপনার কোড টি দিয়ে ভেরিফাই করে নিন।

সর্বশেষ কথা আপনার যদি আমার আর্টিকেল টা ভাল লাগে তাহলে আবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আপনার কি সম্মন্ধে আরো জানার আছে তা নিয়ে মন্তব্য প্রকাশ করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন